গ্রামীণ ব্যাংক কখনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল না: হুইপ স্বপন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম
জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, এদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহ অনবদ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৭২ সালের ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য সীমা আজ ২০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে, অতিদারিদ্র্য সীমা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। স্বাধীনতা অর্জনের পর এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক অর্জন।
শনিবার জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং জেলার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের প্রধানদের সঙ্গে এক উন্নয়ন ও মানবসেবা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মহৎ অর্জনের প্রধান কারিগর জাতির পিতার কন্যা, জ্ঞানতাপস রাজনীতিবিদ জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রাজ্ঞ-নেতৃত্বে উৎপাদন ও সেবা কর্মে নিয়োজিত সকল সম্মানিত নাগরিক নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই মহৎ অর্জনে ভূমিকা পালন করে চলছেন। এই অর্জনে বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী নয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের এনজিওদের সকল অর্জন একা ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চ সুদ হার বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেনি। বরং দারিদ্র্য বৃদ্ধি করেছে, বহু মানুষের জীবন, সংসার ধ্বংস করেছে। গ্রামীণ ব্যাংক প্রকৃতপক্ষে একটি বিধিবদ্ধ ব্যাংক, কখনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল না। এটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
জয়পুরহাট শহরের জাকস ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জয়পুরহাট বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহ সমন্বয় কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ, পিপি অ্যাডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, মনিরুল শহীদ মুন্না, মিনফুজুর রহমান মিলন, মোস্তাকিম মন্ডল, মেয়র হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, শহীদুল আলম চৌধুরী, রাবেয়া খাতুন, সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, এনজিও প্রধান মতিনুর রহমান, কামরুজ্জামান সাজু, হৈমন্তী সরকার, আয়েশা আকতার, অ্যাডভোকেট ডোনাল্ড দাস প্রমুখ।