নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে শ্মশান ঘাটের পাশে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকা সেই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা পিবিআইয়ের পরিদর্শক অভিরঞ্জন দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই নারীর নাম রাজুনা বেগম (৭০)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ভাটি মামুদনগর এলাকার মারফত মুন্সীর মেয়ে।
পিবিআই সূত্র জানায়, নয়াগাঁও শ্মশান ঘাটের পাশে অজ্ঞানামা নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে পরিদর্শক ইমদাদুল বাশারের নেতৃত্বে একটি ক্রাইমসিন টিম রোববার ঘটনাস্থলে যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দলটি দেখতে পায় আনুমানিক ৭০ বছর বয়সি একজন নারীর লাশ; যার নাক, মুখ ও কানে ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে। আশপাশের স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। পরে পিবিআই ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহপূর্বক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। খুনের রহস্য উদঘাটনে পিবিআই ছায়া তদন্ত করছে বলেও জানায়।
খালিয়াজুরী থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনকে মর্গে লাশ শনাক্তে পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে আসার পর এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। দ্রুত এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, নয়াগাঁও শ্মশানঘাটের পাশ থেকে ওই নারীর গলাকাটা ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। পরে পিবিআই ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে।