Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০২:০০ পিএম

ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জসিমকে গুলি করে হত্যার দায়ে আটজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন। রায় শুনে আসামি ও তাদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন। অন্য আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক আছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আলী হোসেন বাচ্চু (৪৩), মোস্তফা (৪৩), খোকন (৪৮), আবুল হোসেন (৬৮), মোবারক উল্যা (৬১), কবির হোসেন রিপন (২৬), জাফর আহম্মদ (৬১) ও হিজবুর রহমান স্বপন (৪০)।

ভুক্তভোগী জসিম চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মোবারকরা ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।

এর পর থেকে মফিজের মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়, না করলে হত্যা করা হবেও হুমকি দেওয়া হয়। এ জন্য মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না যেতে পেরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতেন।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মোবারকদের করা মামলাটি উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরনবী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে হাসান জসিমের নাম বাদ দেওয়ায় মোবারকরা চরম ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে জসিম ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে আত্মীয় গোলাম মাওলার বাড়িতে আত্মগোপনে যায়। ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে আসামিরা জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে। এ সময় তারা জসিমের বুকে গুলি করে। পরে জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পর দিন মফিজ বাদী হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সিআইডির এসআই আফসার আহমেদ আদালতে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় প্রদান করলেন।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম