Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভোটারশূন্য কেন্দ্র, অপেক্ষায় কর্মকর্তারা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

ভোটারশূন্য কেন্দ্র, অপেক্ষায় কর্মকর্তারা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। এই সিটির নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কৌতূহল আছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই ভোটারদের উপস্থিতি বেশিরভাগ কেন্দ্রেই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে একদমই ফাঁকা দেখা গেছে কয়েক ঘণ্টা ভোট পার না হতেই। এমনই একটা কেন্দ্র গাজীপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে দেখা গেছে, কেন্দ্রটিতে একজনও ভোটার নেই। অথচ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৩০ জন।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশেক মোহাম্মদ বলেন, সকালে শুরুর দিকে কিছু ভোটার এসেছিল। এখন ভোটার নেই। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত পড়েছে ২৫৮ ভোট।

ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব ভোটার আসছেন, তাদের ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাতে হচ্ছে৷ এ জন্য বিলম্ব হচ্ছে ভোট নিতে।

গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। সিটির ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ ভোটার ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে হিজড়া ভোটার। এ সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০ ও মোট ভোট কক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।

সরেজমিন দেখা গেছে, শুধু ভোগড়া স্কুলই নয়; বেশিরভাগ কেন্দ্রে বেলা বাড়লেও ভোটার উপস্থিতি তেমনটা দেখা যায়নি। যদিও সাতসকালে অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের বেশ ভিড় ছিল।

ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে দেখা যায়, কেন্দ্রের সামনের মাঠ পুরো ফাঁকা। শুধু আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের জন্য বেশ কিছু বেঞ্চ পাতানো আছে। সেখানে আনসারেরও কেউ নেই। 

দু-তিনজনকে স্কুলের ভবনের নিচে ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের গলায় নৌকার মেয়রপ্রার্থীদের ব্যাচ লাগানো।

ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার রুমে চুপচাপ বসে আছেন। অন্য বুথগুলোতে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন। আর পোলিং এজেন্টরাও নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় সময় কাটাচ্ছেন।

ভোটারের খরার কথা স্বীকার করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশেক মোহাম্মদ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটার আসবে ততক্ষণ আমরা ভোট নেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম