ঘুস নিতে আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ!
৯৮ টাকার মিউটেশন চার্জ নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা!
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ১২:১৫ এএম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম অমান্য করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ঘুস আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে তদন্তে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৯৮ টাকার মিউটেশন চার্জ ৫০০ টাকা আদায়ের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন।তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে না জানি শুধুমাত্র ঘুস নেওয়ার জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ দেন ভবেরচর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘুস ছাড়া কোন কাজ করা যায় না ভবেরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে।প্রত্যেকটি কাজে সরকারি চাকরি খরচের বাহিরে অন্তত তিন/চার গুণ বেশি খরচ দিতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে চারটি খসড়া পর্চা নিতে আমার আটশো টাকা খরচ হয়েছে।কিছু কর্মচারীর মাধ্যমে এই টাকা আদায় করেন ভূমি কর্মকর্তা।
আরেক সেবা প্রত্যাশী শাহিনা বেগম বলেন, জমির নামজারি বাবদ আমার কাছে সাত হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে যা সরকার নির্ধারিত খরচের চাইতে অন্তত পাঁচ/ছয় গুণ বেশি।
ভবেরচর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, জমির মিউটেশন ফি বাবদ ৯০ টাকা নেওয়ার কথা ছিল যা ভ্যাট সহকারে ৯৮ টাকার মতো আসে।
তবে আমাদের অফিসের আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত শাহীন নামে একজন স্টাফ এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন এবং সরকারি ফি বাবদ ৫০০টাকা আদায় করেন। যদিও তার দুইশো টাকা ফেরত দিয়ে তিনশো টাকা রাখার কথা ছিল।কিন্তু সে ভুলবশত পাঁচশো টাকা নোটটি আমার ড্রয়ারে রেখে দেয়।
বিষয়টি হয়তো কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমার দপ্তর পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।তবে শাহীন কিভাবে এই অফিসে কাজ করছে তাকে কে নিয়োগ দিলো এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশীষ দাশ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখন পর্যন্ত অবগত নই। যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেউ ঘটিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।