শেরপুর জেলায় গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে ভারি, হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ বৃষ্টি হয়।
বৈশাখ মাসে তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড গরমে মানুষ নাকাল হলেও জ্যৈষ্ঠের প্রথমেই বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে মঙ্গলবার বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় বয়ে যাওয়ায় অনেক গাছপালা পড়ে গেছে এবং কিছু সংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার সকাল ৭টার দিকে শেরপুর শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ আসে। জেলার অধিকাংশ এলাকায় বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, জেলার ৯৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে বোরো ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। জেলায় মঙ্গলবার ৫৮ মিলিমিটার, বুধবার ৫২ মিলিমিটার এবং বৃহস্পতিবার ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।