রাত আটটা।হঠাৎ করেই শহরের ব্যস্ততম আব্দুল হামিদ সড়কে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দৌড়াদৌড়ি। একপর্যায়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।পথচারীরাও থমকে দাঁড়িয়ে যান।সড়কের দুপাশে উৎসুক জনতার দৃষ্টি একটি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দিকে।
রাজনৈতিক এবং অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির আড্ডা ও পদচারণার কারণে লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের নামও ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কমরেড প্রসাদ রায়, কমরেড মনিসিংহসহ অনেকে এখানে আসতেন। এখানেই সতীর্থদের সঙ্গে নিয়মিত আড্ডা দিতেন রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন। তাই কঠোর নিরাপত্তা বলয় উপেক্ষা করে সরকারি সফরের প্রথম দিনে হঠাৎ করেই রাষ্ট্রপতি ফিরে যান পুরোনো স্মৃতিময় আড্ডার জায়গায়।
লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী ভোলানাথ ঘোষ জানান, রাত আটটার দিকে রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে দোকানে আসেন।এসময় রাষ্ট্রপতিকে দেখে তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি ১০ মিনিট দোকানে অবস্থান করেন। তিনি পুরোনো অনেক স্মৃতি রোমন্থন করেন।
আগে রাষ্ট্রপতি শহরের রূপকথা সড়কের জলযোগ থেকে সিঙ্গারা ও চপ খেতেন।আজও তিনি জলযোগ থেকে সিঙ্গারা খেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জলযোগের ম্যানেজার ফজলে রাব্বি জানান, বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতির জন্য ৬০ পিস সিঙ্গারা নিয়ে যাওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতির বাল্যবন্ধু প্রফেসর শিবজিত নাগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবি ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি পাবনায় প্রেস ক্লাব, মিডিয়া সেন্টার, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং ডায়াবেটিক সেন্টারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। তিনি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ায় আর হয়তো এভাবে আসতে পারবেন না। আমরা তাকে সব সময় মিস করব।