লালমাইয়ে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ

লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৮:৩২ এএম

কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরীন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এসেছে।
এ নিয়ে বাগমারা ইউনিয়ন বরল গ্রামের বাসিন্দা ও বাগমারা ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মেম্বার এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, মিজানুর রহমান মেম্বারের দখলে থাকা জমি একই গ্রামের তার চাচা আবু ইউসুফ ও জাহাঙ্গীর আলম সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলামের সহযোগিতায় বিপুল অঙ্কের ঘুসের মাধ্যমে খারিজ করে নিয়ে যান। এ বিষয় এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দারস্থ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, লালমাই উপজেলার সব ধরনের খারিজের জন্য এসিল্যান্ড নাছরীন আক্তারকে দুই হাজার টাকা করে ফাইল প্রতি দিতে হয়। এসব নিয়ে মৌখিক অভিযোগ করলেও সাধারণ মানুষেরা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, লালমাই উপজেলা প্রায় প্রতিটি খারিজের জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিতে হয়। যদি কেউ টাকা দিতে রাজি না হয়, তা হলে বিএস পর্চা, সিএস পর্চা, ভোটার আইডিসহ নানা জটিলতার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্র লাগবে বলে ভোগান্তি শুরু হয়।
এসব অনিয়মের সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব থেকে শুরু করে উপজেলা ভূমি অফিসের জারিকারক, সার্ভেয়ার ও এসিল্যান্ড পর্যন্ত জড়িত বলে জানা যায়।
এসব অভিযোগের পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড নাছরীন আক্তারকে বারবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তাকে মেসেজ পাঠিয়ে এবং ইমেইল করেও কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পরে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফোরকান এলাহী অনুপমকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।