মায়ের স্মৃতি মনে করে অঝোরে কাঁদলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১১:০১ পিএম
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর মমতা ও অকৃত্রিম দরদ। ভ্রূণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, সেই মায়ের স্মৃতিচারণ করে অঝোরে কাঁদলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল আজীজ।
২০১৫ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া জয়নব বিবির কারণে আজ মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আজীজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা আজীজের সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছার সংগ্রামের সাহসের প্রধান হাতিয়ার ছিলেন তার মা। নিজের সন্তানকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে জীবন সংগ্রামের ভয়াবহ যুদ্ধের বীরযোদ্ধা জয়নব বিবি প্রতিটি পদক্ষেপে লড়াই করে সফল হয়ে হয়েছেন রত্নগর্ভা।
চার সন্তানের জননী জয়নব বিবির স্বামীর নাম এফরাজ আলী মৃধা। তিনি ছিলেন একজন কৃষক। স্বামীর কৃষির আয় থেকে জয়নব বিবি শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও চার সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ গড়েছেন। এর মধ্যে ছোট ছেলে খলিলুর রহমান প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও শিক্ষানুরাগী এবং বড় ছেলে তুখোড় মেধাবী উচ্চ শিক্ষিত আবদুল আজীজ হয়েছেন জনপ্রতিনিধি। ধর্মভিরু জয়নব বিবি বরাবরই সন্তানদের কাছে ছিলেন আদর্শ মা ও আশার বাতিঘর। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরপারে পাড়ি জমান জয়নব বিবি।
মায়ের স্মৃতিচারণ করে আবদুল আজীজ যুগান্তরকে বলেন, মারা যাওয়ার দিনও মা আমার পথচেয়ে বসেছিলেন। আমি মায়ের কোলে না ফিরলে মা ভাত খেতেন না। রাতে আমার বাড়ি আসার খবর শুনলে মা ঘরের দরজার সামনে গিয়ে বসে থাকতেন। মা যেদিন মারা যান- সেদিন আমি বাড়ি গিয়ে নামাজ পড়ে মাকে নিয়ে একসঙ্গে ভাত খেয়ে মায়ের টানানো মশারির নিচে ঘুমিয়ে পড়ি। মা ও আমি পাশাপাশি খাটে ঘুমাতাম। আমার এত বয়স হওয়া সত্ত্বেও আমাকে ঘুম পাড়িয়ে মা ঘুমাতেন। ওই রাতেই মা ঘুমের মধ্যেই মারা যান। ডাক্তারের কাছে নেওয়ার সুযোগটুকু পাইনি।