মহেশখালী দ্বীপে নিরাপদ আশ্রয়ে ৫০ হাজার মানুষ
মাহবুব রোকন, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ১১:৩০ পিএম
সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসছে লোকজন। ছবি: যুগান্তর
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার।
উপজেলার ধলঘাটা, সোনাদিয়া ও মাতারবাড়িকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ওইসব এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াছিন যুগান্তরকে জানিয়েছেন, মহেশখালীতে তালিকাভূক্ত ৯৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মোট ১২০টির মতো সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত মহেশখালীর ধলঘাটা, সোনাদিয়া ও মাতারবাড়িসহ নিন্মাঞ্চলে বসবাস করা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে, অনেকই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া লোকজনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সরবরাহ করা হচ্ছে শিশু খাদ্যও। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও সেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো ঘুর্ণিঝড়ে মহেশখালীতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউএনও জানান, ইতোমধ্যে ৮ মেট্রিক টন চাল ও দেড়লাখ নগদ টাকাসহ সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তাছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা থেকেও শুকনো খাবার সংগ্রহ করে মজুদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মুকাবিলার জন্য ভ্রাম্যামান চিকিৎসক দল, পর্যাপ্ত গাড়ি ও বোটসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মহেশখালী ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন সূত্র।
এদিকে মহেশখালীর সকল ইউনিয়নে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে মহেশখালীতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করলেও বাতাস বইছে না। দিনে কোনো কোনো বিভিন্ন স্থানে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে, সকাল থেকে মহেশখালী সাথে কক্সবাজারের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।