‘স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই’
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
ছবি: যুগান্তর
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ভরণপোষণ না করার অভিযোগ করেছেন সাবিনা ইয়াছমিন। চেয়ারম্যান তাকে দুইবার বিয়ে করেন, দুইবার তালাক দেন। দ্বিতীয়বার তালাক দেওয়ার পর এ অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, আমি তার স্ত্রীর অধিকার ও আমার সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই।
জানা গেছে, ২০১০ সালে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বগারচর ইউনিয়নের ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিনকে বিয়ে করেন। বনিবনা না হওয়ায় ২০১৮ সালে তাকে তালাক দেন মাহমুদুল আলম বাবু।
এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াছমিন বাদী হয়ে জামালপুর আদালতে মামলা করেন। আপস মীমাংসার পর ২০১৯ সালে তাকে আবারো বিয়ে করেন মাহমুদুল আলম বাবু। এরপর থেকেই ঘর-সংসার করে আসছিলেন তারা।
বকশীগঞ্জ পৌর শহরের বাগান বাড়িতে জমি কিনে বাসা করে দেন চেয়ারম্যান। গত ৬ মাস আগে তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। গত ৮ মে সোমবার চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু সাবিনা ইয়াছমিনকে আবারো তালাক দেন।
এ ঘটনায় বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতনের বিচার, স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃপরিচয় চান সাবিনা ইয়াছমিন। তিনি বলেন, বাবু চেয়ারম্যান আমাকে ভরণপোষণ করেন না। এমনকি আমাকে ও আমার সন্তানকে অস্বীকার করে আসছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই।
সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বলেন, ২০১০ সালে তাকে আমি বিয়ে করেছি, জমি কিনে বাসা করে দিয়েছি। সে বিভিন্ন সময় আমাকে ব্ল্যাকমেইল ও নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করত।
এর আগেও সে আমার বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন ও মামলা করে আমার সম্মানহানি করেছে। সম্মানের দিকে চিন্তা করে সব কিছু এতদিন সহ্য করেছি। গত এক মাস যাবত সে আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল।
টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করারও হুমকি দেয় সে। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগতভাবে তালাক দিয়েছি। সন্তান আমার, তবে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।