বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে কারও দায় পায়নি পুলিশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ১১:০৩ পিএম

ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে কারও দায় খুঁজে পায়নি পুলিশ। আর এ কারণে তদন্ত শেষে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল।
বুধবার চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে অন্তত ৫১ জন নিহত ও দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ক্ষতি হয় সেখানে রক্ষিত কয়েকশ কোটি টাকার পণ্য। ঘটনার প্রায় ১১ মাস পর পুলিশ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ শুক্রবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের কারো কোনো সংশ্লিষ্টতা তদন্তে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ছিল একটি দুর্ঘটনা।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আদালত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখবেন। যদি সঠিক আছে মনে করেন তাহলে গ্রহণ করবেন। যদি মনে না করেন তাহলে পুনর্তদন্তের আদেশ দিতে পারেন।’
বিস্ফোরণের ঘটনার তিন দিন পর ৭ জুন সীতাকুণ্ড থানায় ডিপোর আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা হয়।
আসামিরা হলেন- ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) নুরুল আক্তার খান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খালেদুর রহমান, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্বাস উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (প্রশাসন) নাছির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ, ডিপোর শেডের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সহকারী ডিপো ইনচার্জ নজরুল ইসলাম।
সীতাকুণ্ড থানার তৎকালীন এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে হতাহতের অভিযোগ আনা হয়েছিল মামলার এজাহারে।
জানা যায়, প্রথমে মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা ডিবি পুলিশকে। চট্টগ্রাম জেলা ডিবির ইন্সপেক্টর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী মামলাটির তদন্ত করেন।