যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম
ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক আমিনুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের কালীবাড়ি এলাকায় প্রেস ক্লাব ভবনে জরুরি বৈঠক করেন সাংবাদিক নেতারা। প্রেস ক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে এতে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক একেএম মহিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এনাম আহমেদ, বদরুল কাদির সিহাব, হাবিব সরোয়ার আজাদ, শামস শামিম, বিন্দু তালুকদার, দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, এআর জুয়েল, জাহাঙ্গীর আলম, রাজু আহমেদ, মহসিন রেজা মানিক, ওস্তার আলী, মুশফিকুর রহমান স্বপন, মেহেদী হাসান, সাইদুর রহমান আসাদ, লিপসন আহমেদ, আল হাবীব, সাদিকুর রহমান, সোহানুর রহমান সোহান, মাজহারুল ইসলাম শিপন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার লালপুর এলাকায় নির্মিতব্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়ম বিষয়ে সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের করা রিপোর্টে তদন্ত দল সেখানে যায়। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে সাংবাদিক আমিনুল ইসলামকে তদন্তে সহায়তা করতে অনুরোধ জানালে তিনি সকাল ১০টায় লালপুরে প্রকল্প এলাকায় যান। তদন্ত দলের উপস্থিতিতেই যুবলীগ সভাপতি চপল সাংবাদিক আমিনুল ইসলামের রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তাকে উদ্দেশ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
এ সময় আমিনুল প্রতিবাদ করলে চপল তাকে শহরছাড়া করবেন বলে সবার সামনেই হুমকি দেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করে তদন্ত কমিটি। এ সময় চপল তার নিজ বলয়ের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের খবর দিলে তদন্ত দলের উপস্থিতিতেই সেখানে মেটরসাইকেলযোগে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর কান্তি দেসহ যুবলীগের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমিনুল ইসলামকে হেনস্তা করার চেষ্টা করতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে তদন্ত দল প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করতে থাকে। এ সময় আমিনুলকে নিজের গাড়িতে করে পৌঁছে দেবেন বলে গাড়িতে উঠতে বলেন চপল। তদন্ত দলের প্রধান নিজেও আমিনুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চপলকে অনুরোধ জানান।
এদিকে প্রকল্প এলাকা থেকেই চপলের গাড়ির সামনে ও পেছনে শহরের দিকে মোটরসাইকেলে আসতে থাকেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শহরের মল্লিকপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে চপল গাড়ি থামিয়ে আমিনুল ইসলামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা যুবকরা আমিনুলকে ঘেরাও করে আঘাত করতে শুরু করেন। চপল দ্রুত এসে তাকে একটি মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে পাঠান।