রাজশাহীকে নান্দনিক শহরে পরিণত করার অপেক্ষায় আছি: মেয়র লিটন
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ১০:২১ পিএম
ছবি: যুগান্তর
রাজশাহীকে কর্মমুখর ও আরও নান্দনিক শহরে পরিণত করার অপেক্ষায় আছি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাসিক মেয়র বলেন, নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন দৃশ্যমান। আলোকায়নের কাজ চলছে। সেটি আরও সুচারুভাবে করতে হবে। পরিবেশের ক্ষেত্রে যে সুমান অর্জন করেছি আরও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সেটি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যেটুকু কাজ করতে পেরেছি, তা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশের মানুষ এখন জানে রাজশাহী সারা দেশের মধ্যে সেরা সুন্দর ও বসবাসযোগ্য শহর। রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পার হয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। এ কৃতিত্ব আমাদের সবার।
নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাসিকের বর্তমান পরিষদের ১৩তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাসিক মেয়র বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ ব্যবসার মাধ্যমে রাজশাহীকে সমৃদ্ধ করার একটি বড় সুযোগ আছে। সেই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চাই। সেক্ষেত্রে পদ্মা নদীতে নাব্য ফিরিয়ে এনে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করে বিভিন্ন মালামাল আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে রাজশাহীকে আরও উন্নত করতে চাই।
তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে কলকাতা সরকারি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালু করতে চাই। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে টেন্ডার হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন হবে। এখন শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। শিল্পায়ন করতে ইতোমধ্যে রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কলকারখানা হবে।
মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি আয়তন বাড়ানো হবে। রাজশাহীকে অর্থনৈতিকভাবে ওপরে তুলে আনতে এ কাজগুলো করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে রাজশাহীকে কর্মমুখর ও আরও নান্দনিক শহরে পরিণত করার অপেক্ষায় থাকলাম।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও রাজশাহীবাসীর সহযোগিতায় সিটি করপোরেশনের অর্থ থেকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ, বিনামূল্যে ওষুধ, অক্সিজেন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন নাগরিকদের দিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছর আমরা কোনো কাজ করতে পারিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ ও ১নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন ও সচিব মশিউর রহমান। এছাড়া সভায় কাউন্সিলর এবং রাসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।