সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে সওজের উচ্ছেদ অভিযান
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০১:৫১ এএম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
এতে মহাসড়কের উত্তর পাশের শতাধিক দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের কাউন্টার গুড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশ ও সওজের কিছু কর্মচারীকে মাসোহারা দিয়ে দক্ষিণপাশে মহাসড়কের একটি আলাদা লেন দখল করে দখলবাজরা দোকানপাট বসিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে।
এতে ওই সড়ক লেনে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচল করতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলেও সওজ এতোদিন কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু সম্প্রতি গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে সংবাদ ছাপা হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
তাই বুধবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে দূরপাল্লার শতাধিক পরিবহন কাউন্টার গুড়িয়ে দেওয়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পরিবহণ কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা জানান, সড়ক উন্নয়ন করা হয় পরিবহনের সুবিধার জন্য। মানুষের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই ঝড়-বৃষ্টির দিনে যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে বাধ্য করায় তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় প্রভাবশালীদের দখলে সওজের জায়গা থাকলেও সেগুলো রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করছে না সওজ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু যাত্রীদের স্বল্প সময়ের জন্য আশ্রয় নেয়া কাউন্টারগুলো গুড়িয়ে দেওয়ায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ যাত্রীদেরকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় অর্ধলক্ষ যাত্রী শিমরাইল থেকে তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে যায় যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর থানা হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, যাত্রীদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারবো। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের অবস্থান করার আশ্রয়স্থল আমরা দিতে পারবো না।
নারায়ণগঞ্জ সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ফুটওভার ব্রিজের সম্প্রসারণ কাজের জন্য উচ্ছেদ করা হয়েছে।