নেত্রকোনার বারহাট্টায় মুক্তি বর্মণ (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে কাউছার মিয়া (২১) নামের এক বখাটে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত বখাটেকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহত মুক্তি বর্মণ ওই উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। আর অভিযুক্ত যুবক কাউছার মিয়া একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
নিহত মুক্তি বর্মণের কাকা লিটন বর্মণ বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে আমার ভাতিজিকে কাউছার দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিল। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফেরার পথে কাউসার কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে তাকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের টিটু বলেন, মুক্তি বর্মণ মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার সহপাঠিরা বলেছে, বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপানো শুরু করে এক বখাটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। ঘটনার সাথে জড়িত বখাটের বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ফোন ধরেননি।
তবে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্ত বখাটে যুবককে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।