‘চরাঞ্চলে ১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের’

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৯ পিএম

ছবি: যুগান্তর
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, চরাঞ্চলে নতুন করে এক হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ অর্থবছরে ২০টি চরে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন বলেন, এ কলেজের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুশি। কলেজের আয়োজক কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানাচ্ছি। আমরা যে যেখানেই থাকি শেকড়কে যেন ভুলে না যাই। এ সময় তিনি কলেজটি জাতীয়করণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ১৯৭৩ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময় ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ সভাপতি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আইনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, ১৯৭৩ সালের শিক্ষার্থী শাহাজাহান আলী বাদশা প্রমুখ।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলেজ প্রাঙ্গণকে আলোকসজ্জ্বায় রঙিন করে তোলা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বণার্ঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, র্যাফেল ড্র এবং ঢাকার শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।