রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও ঊর্ধ্বমুখী
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম
রাজশাহীতে গত ১৩ এপ্রিল থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪২ এর ঘরেই থাকছে। একইসঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও ঊর্ধ্বমুখী।
গত ১৫ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। এতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আগুনঝরা গরম এবং রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আর এই দুর্ভোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং; যা কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিনও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই ছিল।
তার আগে গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৭ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি, গত ১৬ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৫ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫। আর গত ১৫ এপ্রিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেই অবস্থান করছে।
রাজশাহীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা তাহমিনা খাতুন জানান, এই গরমে শহরের আবাসিক এলাকা বেশি দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। একে তো দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আর গত রাতে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুম হয়নি। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এ আবহাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বোরো চাষিদের। ঝরে পড়ছে আমের গুটিও। পবা উপজেলার দামকুড়ার বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, এই গরমে রোজা থেকে এমনিই অবস্থা কাহিল। এর মধ্যে দুদিন পরপর জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। আর লোডশেডিংয়ের কারণে সেচের পানি দিতে গিয়েও শান্তি নাই।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, দাবদাহ কবে থেকে কমবে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। রাজশাহীতে ১৩ এপ্রিল থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ছাড়া তাপমাত্রা কমবে না। এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।