Logo
Logo
×

সারাদেশ

লালমাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতিবাজ বললেন যুবলীগ নেতা!

Icon

লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৩ এএম

লালমাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতিবাজ বললেন যুবলীগ নেতা!

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লাকে দুর্নীতিবাজ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূঁইয়াকে রাজাকারের সন্তান বললেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন।

তিনি গত ১৬ এপ্রিল লালমাই আওয়ামী যুবলীগের অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দেন। পরে তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে তোলপাড় হয়।

এর আগে আবদুল মতিন মোল্লা লোটাস কামাল গ্রুপের অরবিটাল ট্রাভেলে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। এ সময় বিদেশগামী যাত্রীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
 
জানা যায়, সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির দায়িত্ব পান আবদুল মতিন মোল্লা। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নানা সুবিধা আদায় ও নিয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব খাটিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিচার সালিশের নামে বাণিজ্য, পদবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যেও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া রাজাকারের ছেলে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

মাসুদুর রহমানের বাবা তৈয়ব আলী ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে ভুলইন ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার বড় ভাই আরবের রহমান ওরফে ননাও রাজাকার ছিলেন। বোনজামাই দুদু মিয়া ওরফে দুদা চোরাও রাজাকার ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি ভাঙচুর, হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

ভুলইন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ বলেন, মাসুদুর রহমানের বাবা তৈয়ব আলী ভূঁইয়া একজন রাজাকার ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তার সন্তান এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

এ বিষয় সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূঁইয়াকে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। বারবার বার্তা পাঠিয়েও জবাব পাওয়া যায়নি।

সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লাকে কল করে না পেয়ে তার বাড়ি গিয়েও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম