যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রকাশে টাকা ফেরত পেলেন দিনমজুর
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩২ পিএম
নাটোরে যমুনা টিভির সিনিয়র করেসপনডেন্ট নাজমুল হাসানের উদ্যোগে নির্দোষ এক দিনমজুর সাড়ে ১০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে টাকা ফেরত পান তিনি। ভুক্তভোগী দিনমজুর এনামুল হকের মামা শহিদুল ইসলাম জানান,শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পাট সাঐল এলাকায় অভিযানে নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে বাজারে অবস্থানরত তার ভাগিনা এনামুলকে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ লাগায় তারা।
হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে তাকে সাথে নিয়ে পাশেই পুটিমারি গ্রাম থেকে দেড়শ গ্রাম গাঁজাসহ জহুরুল ইসলাম নামে অপর একজনকে আটক করে। এসময় ঐ ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি সদস্য বলে জানায়। বারবার নির্দোষ বলার পরই এনামুলকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে তারা।
এসময় তাদের সোর্স রানা টাকা দাবী করে বসে।তাদের দাবী মোতাবেক সাড়ে দশ হাজার টাকা দিয়ে এনামুলকে ছাড়িয়ে নেন তিনি। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় এনামুল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসি আবু সাদাদকে অবহিত করেন।
ডিবির ওসি আবু সাদাদ জানান,শুক্রবার ডিবি কোনও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেননি।এনামুলের কাছে বিষয়টি জেনে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন এএসআই আশরাফুল ইসলাম।
পরে কথা হয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আশরাফুল ইসলামের সাথে।তিনি জানান, সোর্সের তথ্য মোতাবেক এনামুলকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। টাকা লেনদেন সোর্সরা করেছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে বিনা অপরাধে আটক করে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে বেইজ্জতি করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন। এরপর যমুনা টিভির সাংবাদিক নাজমুল হাসান তাকে শনিবার সকালের মধ্যে ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত দেবার কথা বলেন। এরপরই কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের সোর্স রানা হোসেন পাট সাঐল হাজিপুর এলাকায় গিয়ে এনামুল হকের মামা শহিদুল ইসলামের কাছে সাড়ে দশ হাজার টাকা দিয়ে আসে।
টাকা পারয়ার পর ভুক্তভোগী এনামুল হক উচ্ছাসিত হয়ে যমুনা টেলিভিশন ও সাংবাদিক নাজমুল হাসানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।