ভুয়া এতিমখানা থেকে ৫ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী উদ্ধার, আটক ৪
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম
কেরানীগঞ্জে ভুয়া এতিমখানা থেকে পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে উদ্ধার এবং চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমীনুল ইসলাম।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্যবহার করে জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে।
অভিযোগ পেয়ে কেরানীগঞ্জের আরশিনগরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূলহোতা ইয়াসিন ওরফে হুজুর ইয়াসিন (৩০), তার স্ত্রী সিমা আক্তার (২৫), মোস্তাকিম (২৮) ও আব্দুর রহমান (৩২) নামে চার প্রতারককে আটক করে পুলিশ।
এ সময় সেখান থেকে পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- মিলন ইসলাম রাজু, আলী আজম, জাহিদ হাসান, আবদুল্লাহ ও মো. হাবিবুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম জানান, আটকরা আরশিনগর এলাকার ফজলুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘ইহসানিয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং’ নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সংগ্রহ করতেন৷ সংগ্রহকালে তাদের থাকা-খাওয়া ও ফ্রি পড়াশোনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। এখানে আসার পর তারা এক রকম বন্দি অবস্থায় থাকত। এরপর তাদের দিয়ে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ধর্মপ্রাণ ও সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে ভুয়া এতিমখানার নামে চাঁদা উত্তোলন করা হতো।
কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের এ কাজ করতে বাধ্য করা হতো। কেউ প্রতিবাদ করলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন আটকরা। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে ঘটনার সত্যতা পায়। বৃহস্পতিবার বিকালে আরশিনগরে অভিযান চালানো হয়। ওই বাসা থেকে পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের আপাতত পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। স্বজন পাওয়া গেলে তাদের জিম্মায় দেওয়া হবে।
ওই তিন কর্মকর্তা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুন্সি আশিকুর রহমান।