Logo
Logo
×

সারাদেশ

শতবর্ষী গোদার পুকুর ভরাট করে হচ্ছে মার্কেট

Icon

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪২ পিএম

শতবর্ষী গোদার পুকুর ভরাট করে হচ্ছে মার্কেট

আইন লঙ্ঘন করে সাতকানিয়া পৌর সদরে ভরাট করা হচ্ছে শতবর্ষী একটি পুকুর। কয়েক দিন ধরে দিনদুপুরে কয়েকটি ডাম্পার ট্রাকের সাহায্যে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুরটি। 

বিষয়টি নিয়ে অংশীদারদের মধ্যে কয়েকজন ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনকে জানালে তিন দিন পর মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

তবে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখলেও শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধের সুযোগে স্থানীয় প্রশাসনকে ঘুমে রেখে পুকুর ভরাটের কর্মযজ্ঞ সফল করতে চায় বলে তাদের অংশীজন সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার রাতে সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা সড়ক ধরে ইউএনওর (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বাসভবনের সামনে একের পর এক ট্রাকে করে পুকুর ভরাটের জন্য মাটি আনা হচ্ছে। স্কুল রোডের পাশ ঘেঁষে তৈরি করা গেট দিয়ে ফেলা হচ্ছে এসব ট্রাকের মাটি। কয়েক দিন ধরে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া কলেজ রোডে কয়েকজন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আপস করে মাটি ফেলার ট্রাক যাতায়াতে করা হয়েছে সুবিশাল রাস্তা। ওই রাস্তা ধরেই বৃহস্পতিবার রাত, শুক্র ও শনিবার পুকুর ভরাটের মিশন সফল করতে চায় তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কবির আহমদ সওদাগর গংসহ আরও বেশ কয়েকজন অংশীজনের মালিকানাধীন শতবর্ষী এই গোদার পুকুর। এদের মধ্যে কবির আহমদের নাতি কবির মোহাম্মদ মহসিন অংশীজনদের সঙ্গে মিলেমিশে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তার নেতৃত্বে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীরা ডলু নদীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি এনে পুকুর ভরাট করছেন। অথচ বছর কয়েক আগেও পৌর সদরের বাজার জামে মসজিদের মুসল্লিদের পানির জোগান হতো এ পুকুর থেকে। এছাড়া আশপাশে থাকা বহু ব্যাংক, বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল, কলেজ, জনবসতি, বাজারে অগ্নিকাণ্ড রোধে পানির অন্যতম উৎস। এর আগে পুকুরটি ভরাটের টার্গেট নিয়ে আবর্জনায় ঘাট বন্ধ করে কচুরিপানায় ভরপুর করে ফেলে মালিকপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুকুরের এক অংশীদার বলেন, পুকুর ভরাটের জন্য আমরা রাজি না। রাতের আঁধারে পুকুরে মাটি ফেলা হচ্ছে। জোরপূর্বক জায়গা দখলে নিচ্ছে তারা। আমরা এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিচ্ছি।

সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দীকি বলেন, পৌর সদরের গোদার পুকুর নামে একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষ পুকুর ভরাটের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পুকুর ভরাট না করার অঙ্গীকার করেছে। যদি পুনরায় পুকুর ভরাটের কাজে লিপ্ত হয় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম