মাঝ নদীতে লঞ্চ থেকে মেঘনায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবক
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২১ এএম
বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে লঞ্চ থেকে মেঘনায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছে নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসিন্দা শেখ রেফাত মাহমুদ সাধ (২৭)।
শুক্রবার শুভরাজ- ৯ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
নিখোঁজ ওই যুবক নগরীর কালীবাড়ি রোডের ফ্লোরা ভিউর বাসিন্দা ঠিকাদার শেখ আসলাম মাহমুদের ছেলে।
লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সাধ।
তার বাবা শেখ আসলাম মাহমুদ বলেন, শেখ রেফাত মাহমুদ সাধ ব্রজমোহন কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স সম্পন করেছে। আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানিতে তার নিয়োগ হয়েছে। গত শনিবার সেখানে যোগদানের কথা ছিল। চাকরিতে যোগদান করতে শুক্রবার বরিশাল থেকে শুভরাজ-৯ লঞ্চে ঢাকা রওনা হয় সে।
তিনি বলেন, আমার ছেলে বলে বলছি না, সাধ খুব ভালো ছেলে। নম্র, ভদ্র ও ধার্মিক ছিল। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত ও রোজা রাখত। তার মধ্যে কখনো অস্বাভাবিকতা দেখিনি। যাওয়ার সময় আমার ও তার মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছে। তার হাতে ও মায়ের কপালে চুমু দিয়েছে। যাওয়ার সময় আরও বলেছে, ঢাকা গিয়ে যদি টাকার প্রয়োজন হয় পাঠিয়ে দিও। আমিও তাকে বলেছি, তুমি জানালে পাঠিয়ে দেব। কেন, কি হলো আমি বুঝতে পারছি না।
বর্তমানে মেঘনা নদীতে ভাইয়ের সন্ধানে স্পিডবোট নিয়ে ঘুরছে ছোট ভাই শেখ রাফসান মাহমুদ সংগ্রাম। নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী মানুষদের কাছে নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধান চেয়েছেন সংগ্রাম।
সিসি টিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১টা ১৬ মিনিটের দিকে লঞ্চের দ্বিতীয় তলার কেবিনে পাশে রেলিং ধরে নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। লঞ্চ থেকে নিচে তাকিয়ে দেখেছে। রাত ১টা ৩৩ মিনিটে রেলিংয়ের ওপর উঠে ঝাঁপ দিতে গিয়ে থেমে যায়। এক পা রেলিংয়ের বাইরে দিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিল। পাশে আরও দুই যাত্রী থাকলেও তারা বিষয়টি কোনো কিছু খেয়াল করেনি। মিনিট খানেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে সাধ।
তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় শেখ আসলাম মাহমুদ জিডি করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আমিও ভিডিও দেখেছি। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা যে স্থান থেকে ঝাঁপ দিয়েছে, সেই স্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া সাধের সন্ধান পেতে প্রত্যেকটি থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে।