গোপালগঞ্জে খামারবাড়ির কেয়ারটেকারকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় খামারবাড়ির মালিককেও কুপিয়ে আহত করে তারা।
রোববার বিকালে মালিক মুরাদ হোসেনকে (৬৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপালগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সেখান থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রোববার ভোরে সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসী মুরাদ হোসেনের খামারবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মুরাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, মুরাদ প্যারালাইসিসে ভুগছেন। তিন মাস আগে দেশে ফিরেছেন। বাড়িতে আসার পর থেকে তিনি খামারবাড়িতে থাকতেন। ওই খামারবাড়ির মধ্যে একটি গরুর খামার ও পুকুর রয়েছে। খামার ও পুকুর দেখাশুনার পাশপাশি তার সেবাযত্ন করার জন্য কেয়ারটেকার আহাদ আলী (৪৫) একই ভবনে থাকতেন।
রোববার ভোরে ৮-১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত একতলা ভবনের জানালার থাই গ্লাস খুলে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যেতে থাকে। এমন সময় টের পেয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা কেয়ারটেকার মুরাদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
মুরাদের চাচাতো ভাই আজিজুর রহমান বলেন, সকালে প্রতিবেশীরা খামারবাড়ির প্রধান ফটক খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকে তাদের পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে আমরা এসে মুরাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। মুরাদের চোখ, মুখ ও মাথাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহাদ আলী নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তার বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি গ্রামে।
পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা জানান, ঘটনা তদন্তে পুলিশের সব ইউনিট কাজ শুরু করেছে।