মাকে হত্যার ২৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল ও কালিহাতী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম
বোনের সঙ্গে ঝগড়া বাধে বাদশা মিয়ার। বাঁশের লাঠি দিয়ে বোনকে আঘাত করতে যান তিনি। মা এসে সেই লাঠি কেড়ে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠানে পড়ে থাকা দা নিয়ে মাকে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর কেটে গেছে ২৭ বছর। মাকে হত্যার দায়ে ১৯ বছর আগে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। নাম বদল করে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম বাদশা মিয়া (৫৫)। তিনি জেলার কালিহাতী উপজেলার কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
আজ দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪-এর ৩নং কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের। তিনি জানান, বাদশা মিয়া মাকে হত্যার পরই পালিয়ে যান। তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর নাম দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন।
মোহাম্মদ যোবায়ের আরও জানান, প্রথমে ঢাকা মহনগরের বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। পরে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকায় বসবাস করা শুরু করেন। প্রথমে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত চার বছর ধরে কান্দাইল এলাকায় চায়ের দোকান করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে কালিহাতী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মাকে হত্যার পর বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা করা হয়। বিচার শেষে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।