চরফ্যাশনে যৌতুকের দাবিতে পারুল রানী দাস নামে তিন সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ।
পরে স্বজনরা খবর পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে চরফ্যাশন থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। চরফ্যাশন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে স্বামীর বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর চাচাতো বোন শ্রাবণী রানী দাস জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে চরফ্যাশন পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের মৃত মাখন চন্দ্র দাসের ছেলে গোপাল চন্দ্র দাসের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী গোপাল চন্দ্র দাস, ভাশুর হরিস চন্দ্র , শাশুড়ি কল্পনা রানী, ভাশুরের স্ত্রী পিয়াংকা রানী, ননদ শিখা রানী ও মামা শ্বশুর সুরেশ চন্দ্র দাস প্রায় সময় নানান অজুহাতে তার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল।
তাদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় প্রায় সময় তাকে মারধর করতেন। এ নিয়ে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বিরোধ লেগেই ছিল। শুক্রবার আবারও তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাদের দাবিকৃত ওই টাকা এনে দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গৃহবধূর তর্ক বাধে।
ওই তর্কের জের ধরে স্বামী গোপাল চন্দ্র দাসসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার বোন পারুল রানীর স্বামীর বাড়ি ও তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী হওয়ায় খবর পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে চরফ্যাশন থানা পুলিশের সহায়তায় বোন পারুল রানী দাসকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যান।
গৃহবধূর স্বামী গোপাল চন্দ্র দাস জানান, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে তার স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।
চরফ্যাশন থানার ওসি মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন জানান, পুলিশ পাঠিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।