বরিশাল সিটি করপোরেশন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের প্রকৃত চালকদের অনুমোদন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্তী। 

বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। লাইসেন্স দেওয়ার নামে পক্ষপাতিত্ব, প্রকৃত চালকদের বঞ্চিত করা, বৈষম্য ও হয়রানির বিরুদ্ধে এবং নগরীতে সব চলাচলরত ইজিবাইকের প্রকৃত চালকদের অনুমোদনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন সড়কে শৃঙ্খলার কথা বলে ইজিবাইকের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে গত রোববার (২৬ মার্চ) থেকে। চালকদের অসহায়ত্বের সুযোগে নতুন ধরনের চাঁদাবাজির পাঁয়তারা তাদের। প্রকৃত চালকদের ইজিবাইকসহ অনুমোদন না দিয়ে সিটি করপোরেশন তাদের নিজস্ব লোকজনকে এ অনুমোদন দিচ্ছে অবৈধভাবে। এ ইজিবাইক অনুমোদন দেবে বিআরটিএ। সেখানে সিটি করপোরেশন দিচ্ছে। 

সিটি করপোরেশন অনুমোদনের নামে পক্ষপাতিত্ব করলে বৃহৎ আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মনীষা।

মনীষা আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে সিটি করপোরেশন ইজিবাইকের নম্বর প্লেট বিতরণ শুরু করেছে। কিন্তু এই নম্বর প্লেট আসলে কাদের মধ্যে বিতরণ করবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কোনো স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। নানাভাবে প্রচার করা হচ্ছে শুধু ভোটারদের মধ্যে নম্বর প্লেট বিতরণ করা হবে। এটা হলে নগরীতে চলাচলরত অন্তত অর্ধেক প্রকৃত চালক অনুমোদন বঞ্চিত হবেন। আবার অনেকে ভোটার হওয়ার সুবাদে বা সিটি করপোরেশনের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে এ অনুমোদন সংগ্রহ করছেন। যা দিয়ে পরবর্তীতে প্রকৃত চালকদের জিম্মি করে লাইসেন্স বাণিজ্য করার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গিয়ে দুর্নীতি, লাইসেন্স বাণিজ্যের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি দুলাল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, শাহীন শরীফ, ফজলুর রহমান, মো. রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।