Logo
Logo
×

সারাদেশ

র‌্যাবের গাড়িতে তোলার সময় চিৎকার করছিলেন জেসমিন

Icon

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম

র‌্যাবের গাড়িতে তোলার সময় চিৎকার করছিলেন জেসমিন

সম্প্রতি র‌্যাব হেফাজতে মারা যান নওগাঁর একটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিন। আটকের সময় র‌্যাবের গাড়িতে তোলার সময় সুলতানা চিৎকার করেছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে।

সরেজমিন বুধবার বিকালে ঘটনাস্থল নওগাঁ শহরের মুক্তি মোড়ে কল্পনা হার্ডওয়ারের দোকানের সামনে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও র‌্যাবের জব্দ তালিকার ১নং সাক্ষী ও দোকানের ম্যানেজার মো. আবু হায়াতের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে কল্পনা হার্ডওয়ারের দোকান খুলে ভেতরে ছিলাম। এর প্রায় ২০ মিনিট পর আমার দোকানের সামনে কয়েকজন র‌্যাবের সদস্য মাস্ক পরা এক নারীকে রিকশা থেকে নামানোর চেষ্টা করছিলেন। ওই নারী রিকশা থেকে নামতে চাচ্ছিলেন না। তখন র‌্যাবের দুইজন নারী সদস্য জোর করে টেনে সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন। তখন ওই নারী বলছিলেন- ‘আমার অপরাধ কী?’ র‌্যাবের সদস্যরা বলছিলেন- ‘স্যার আপনার সঙ্গে কথা বলবে, তাই নিয়ে যাচ্ছি’।

আবু হায়াত বলেন, এ সময় সাদা কাগজের ওপর আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন র‌্যাব সদস্যরা। আমি স্বাক্ষর দিতে চাইনি। তখন তারা বলেন স্বাক্ষর করলে সমস্যা নেই। তখন আমি একটি স্বাক্ষর করি। কী অপরাধে ওই নারীকে আটক করা হলো সে বিষয়ে কিছু বলেনি। পরে শুনলাম মেয়েটি মারা গেছেন।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কল্পনা হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী মো. হোসেন জানান, ওই নারীকে আটকের সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিয়েছিলেন। তখন র‌্যাবের লোকজন তাদের আইডি কার্ড দেখালে লোকজন সরে যান। আটকের সময় র‌্যাবের দুইটি গাড়ি ছিল। তার মধ্যে একটি সাদা মাইক্রোবাস। সাদা মাইক্রোবাসে ওই নারীকে তোলা হয়। গাড়িতে তোলার সময় তিনি চিৎকার করছিলেন। 

র‌্যাবের জব্দ তালিকার ২নং সাক্ষী মো. সুমনের বাবা চা দোকানি সেকেন্দার আলী জানান, আমার ছেলে সুমন দর্জিও দোকানে কাজ করে। দোকানের যাওয়ার পথে র‌্যাব তার স্বাক্ষর নেয়। এর বেশি কিছু না।

গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের জনকল্যাণপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‌্যাব। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৩ মার্চ বিকালে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার‌্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শুক্রবার মারা যান জেসমিন। আটকের পর র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনকে নির‌্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম