পাহাড়তলী বধ্যভূমি উদ্ধারে যৌথ আন্দোলনের ঘোষণা
পাহাড়তলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৭ এএম
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেছেন, চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন মূল্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাতেই চূড়ান্ত বার্তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় বছর এটি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনের ইতিহাস জানা দরকার। সবাইকে নিয়ে অচিরেই আন্দোলনের রুপরেখা তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।
অবিলম্বে পাহাড়তলী বধ্যভূমির ১.৭৫ একর জায়গা উদ্ধার এবং পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার,বধ্যভূমি চত্বরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম ও পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী গণসম্মিলনে নেতারা এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মফিজুর রহমানও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, যাদের জীবনের বিনিময়ে দেশ নির্মিত হয়েছে, তাদের রক্তের উপর কোন প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ পরিচালনার নূন্যতম অধিকার নেই।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, যৌথবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় আমাদের জানা আছে। মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থেকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না, কে বা কারা এসবের সাথে জড়িত এবং তারা কত শক্তিশালী তা জাতি জানতে চায় ও দেখতে চায়।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি, মফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি এবং শওকত বাঙালি প্রধান বক্তা হিসেবে এসব বক্তব্য প্রদান করেন।
পরিষদ সদস্য মো. সেলিম বাদশার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান ও মো. রেজাউল হোসেন সুজা, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি হিসাবে খ্যাত পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ১.৭৫ একর জমিতে ৯ বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প অধ্যাবদী বাস্তবায়ন না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।