কুলাউড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১টা ও সন্ধ্যা ৬টায় দুই দফা ঘূর্ণিঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর, টিলাগাঁও, হাজীপুর, পৃথিমপাশা জয়চন্ডী ইউনিয়নে বাঁশ ও টিনের তৈরি দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। মাথা গোঁজার ঠাঁই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় এখন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে বেশিরভাগ পরিবারকে।
টিলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের লালবাগ, আশ্রয়গ্রাম, ইছব পুর, বালিয়া, লহরাজপুর, সালামতপুর, কামালপুর, শাহপুর, বিজলী, আমানীপুর, পাল্লাকান্দী, নইমপুর গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া লালবাগের বারুনি মেলা ও টিলাগাঁও স্টেশনের টিকিট ঘরটিও তছনছ হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় লালবাগের বারুনি মেলায় গাছ পড়ে ২ জন ও টিলাগাঁও স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ৩ জন আহত হয়েছেন।
কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান জানান, আমার ইউনিয়নের ২, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৫০টি বসতঘরের টিনের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে আছেন।
জয়চন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব জানান, তার এলাকার ১২টি বসতঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে।
কুলাউড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলী জানান, ঝড়ে যেসব এলাকায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চেয়ারম্যানরা মোবাইল ফোনে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে টিলাগাঁও ইউনিয়ন। তালিকা করে পিআইও অফিসে জমা দেওয়ার জন্য বলেছি। তালিকা পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।