হাসি ফুটেছে পটুয়াখালীর ২৬০ পরিবারে
দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৪:২০ পিএম
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দুইশ ৬০টি পরিবার। এক সময়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা বাসস্থানহীন ভূমিহীন ও গৃহহীনরা ওই স্বপ্নের ঠিকানার বাসিন্দা। ভূমিহীন ও গৃহীনদের দুটি শয়নকক্ষ, একটি বারান্দা,রান্নাঘর ও বাথরুমসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
ঘরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ,সুপেয় পানি আর স্যানিটেশন সিস্টেম পেয়ে এখন যেন রাজকীয় জীবন তাদের। ঘরের পাশের জমিতে সবজি আর ফলমূলে চাষে মেটে তাদের পুষ্টির চাহিদা। সন্তানরা পড়াশুনা করছেন স্কুল-কলেজে। বঞ্চিত হননি সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে। স্থানীয় প্রশাসন সব সময় খোঁজ খবর রাখছেন তাদের। এক সময়ের আশ্রয়হীনরা এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছেন। দিন দিন স্বাবলম্বী উঠছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী,আলীপুরা,বেতাগী-সানকিপুর,দশমিনা সদর,বহরমপুর,বাঁশবাড়িয়া ও চরবোরহান ইউনিয়নের দুইশ ৬০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মুজিব শতবর্ষের ঘর প্রদান করা হয়। ঘরের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে জমি উপহার।
মুক্তার আক্তার ও সালেহাসহ আশ্রয়নের কয়েকজন বাসিন্দা যুগান্তরকে বলেন, এক সময় মানুষের বাড়ির বারান্দায়,ঘরের উঠোনে আর রস্তায় ঘুমাতেন তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটতো তাদের। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়নের ঘর পেয়ে এখন তারা আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। ঘরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ,সুপেয় পানি আর স্যানিটেশন সিস্টেমও আছে তাদের। পাচ্ছেন সরকারি সব সুবিধা। ঘরের পাশের জমি চাষে মিটছে তাদের পুষ্টির চাহিদা। স্থানীয় প্রশাসন তাদের সব সময় খোঁজ খবর রাখছেনও বলে জানান তারা।
দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, উপজেলার অনেক অসহায় পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। তাদের বসবাসের ঠিকানা হয়েছে ও তারা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই ঘর পেয়েছেন। আমরা উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে সরকারকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আরও ঘর বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
ইউএনও নাফিসা নাজ নীরা যুগান্তরকে বলেন, দশমিনায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যাচাই-বাছাই করে ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়নে যারা বাস করছেন তাদের খোঁজ খবর সব সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়। তারা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। ঘরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ,সুপেয় পানি আর স্যানিটেশন সিস্টেমও পেয়েছেন তারা।