শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:২০ পিএম
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দাড়ারপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে সুজন মিয়া (২৫) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুজনের এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পৌর শহরে।
এর আগে নিহত যুবকের বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ মিয়াজীপাড়া গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে দাড়ারপাড় এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে হাবিবা বেগমের (২৩) এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় আট মাস পর হাবিবা পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ সময় স্বামী সুজন ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। গত ৬ মার্চ সুজন ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ডেকে নেয়। এরপর দুই দিন তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সুজনের পরিবারের লোকজন ৭ মার্চ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সুজন মুমূর্ষু অবস্থায় থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সুজনের অবস্থা সংকটাপূর্ণ হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারিহা হাসান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বাবা ফয়জার রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতেই আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবু হাসান মামুদ (১৯) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি দাড়ারপাড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিষাদ চন্দ্র রায় বলেন, ওই দিন সুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, সুজনের বাবা থানায় অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।