এক বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক!
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ১১:২১ পিএম
কুমিল্লার হোমনায় বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ উপেক্ষা করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাশিপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার কাশিপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মো. আবুল বাশার সরকার ও সহকারী প্রধানশিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
জানা গেছে, প্রধানশিক্ষক আবুল বাশার সরকার ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বরে অবসরে গেলেও তিনি এখনও প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন।
অপরদিকে ২০২১ সালের বিদ্যালয় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে কোনো শিক্ষকের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। অবসরের পরের দিনই সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সহকারী প্রধানশিক্ষক না থাকলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। সে বিধান মতে সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক বা কোনো কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই পুন:নিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষক আবুল বাশার বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠিয়েছি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমি শুধু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করি কিন্তু বাশার স্যারই তিন মাস ধরে প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মইন আহাম্মেদ শামীম জানান, প্রধানশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া পর্যন্ত আবুল বাশার সরকার দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তাই অনুমতির আগ পর্যন্ত তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু কাগজপত্রে সহকারী প্রধানশিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
এক বিদ্যালয়ে দুইজন প্রধানশিক্ষক থাকার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, ২০২১ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে কেউ অবসরে যাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা সিনিয়র সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন। বিধির বাইরে ম্যানেজিং কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সরকারের অনুমতির আগে তিনি প্রধান শিক্ষক নন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।