শ্বশুরের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা, ব্রিটিশ নাগরিক জখম
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
![শ্বশুরের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা, ব্রিটিশ নাগরিক জখম](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/03/08/image-652475-1678281189.jpg)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বলিপাড়া গ্রামে শ্বশুরের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন ব্রিটিশ নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মনজুর আহমেদ।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তার ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহীদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মনজুর আহমেদ এ কথা বলেন।
একই সঙ্গে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের দাবি করা হয়।
মনজুর আহমেদ বলেন, গত ৫ মার্চ বিকালে শ্বশুর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিনের নির্বাচনী প্রচারণা করতে যান তিনি। প্রচারণার সময় তাদের ওপর প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবিএম হুমায়ুন কবিরের ছেলে সুমন নেতৃত্বে তার ছোট ভাই ও সমর্থকরা হামলা চালান। হামলায় মনজুর ও তার ছেলে আহমেদ আল আমিন আহত হন।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও তিন দিনেও হামলাকারীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তারা আগামী ১৬ মার্চ নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আশরাফ আলী বলেন, একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি দেশে নিরাপত্তা না পায় তাহলে কিভাবে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মনজুর আহমেদের স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক রেবেকা সুলতানা, মা মাজেদা খাতুনসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবিএম হুমায়ূন কবীর বলেন, তারা যেখানে উঠান বৈঠক করছিল সেখানে আমার বোন হেনা বেগম ভোট চাইতে গেলে তার সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকটির সময় আমার বোনের হাত ভেঙে দেয়। এরপরই এ ঘটনা ঘটে। সামনে আর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম জানান, তারা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। আগামী ১৬ মার্চ কলাপাড়ার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।