Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিয়ের পর পালালেন নবদম্পতি!

Icon

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১০:০৬ পিএম

বিয়ের পর পালালেন নবদম্পতি!

ঢাকার ধামরাইয়ে নুরুন্নাহার নামে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে ঠেকাতে পারল না উপজেলা প্রশাসন। ইউপি মেম্বারের উপস্থিতিতেই শরীফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে নুরুন্নাহার নামে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।

সোমবার বিকালে এ বাল্যবিয়ের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গুরুগ্রাম এলাকায়। বিয়ের পরই ওই নবদম্পতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার যাদবপুর ভুবনমোহন (ভিএম) স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও গুরুগ্রামের মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। আর ওই পুলিশ সদস্য পাশের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চণ্ডীশ্বর গ্রামের মো. আব্দুল গফুরের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার এ বাল্যবিয়ে উপলক্ষ্যে ঘটা করে আয়োজন ও মেহমানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। দিনভর চলে রাজসিক ভূরিভোজ ও খানাপিনা।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তারকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠান ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে। তিনি ওই বিয়েবাড়িতে সঙ্গীয় লোকজনসহ স্কুলছাত্রীর পিতা-মাতাকে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন।

তারা ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসার পর বিকাল ৪টার দিকে যাদবপুর ইউপি মেম্বার মো. আব্দুল মান্নানের উপস্থিতিতে এ বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওই ভূমি কর্মকর্তা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই নবদম্পতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার আব্দুল মান্নান বলেন, তিন-চার বছর ধরে ওই পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্রীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলে সরকারি চাকরি করে। কাজটি খুবই ভালো। তাই আমি এ বিয়েতে সম্মতি দিয়েছি।

এ ব্যাপারে যাদবপুর ভিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, কোনো অভিভাবক যখন তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেন; তা আমাদের না জানিয়েই দেন। আমরা জানতে পারলে বাধা দেই অথবা প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে থাকি। কারণ বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি বা অভিশাপ।

এ ব্যাপারে যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুই দফা বাধা দিয়েও বাল্যবিয়েটি আটকাতে পারিনি। অনেক চেষ্টাই করেছিলাম এ বাল্যবিয়ে আটকানোর জন্য; কিন্তু ইউপি মেম্বার উপস্থিত থেকে এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর নবদম্পতি গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। ধরতে পারলে তাদের দণ্ড দেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম