Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

Icon

টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৩, ১১:০১ পিএম

ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পানিছত্র এলাকার কে আই হাসাপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

মারা যাওয়া শারমিন (৩০) সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার আনোয়ার খালাসির স্ত্রী। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। 

জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার পপুলার হাসপাতালের সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা নামের চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে শারমিন বেগমের (৩০) এক ছেলেসন্তান হয়। 

৭ দিন পর পরিবারের লোকজন শারমিনের বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। গত দুদিন ধরে শারমিনের মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা হলে একই চিকিৎসকের পরামর্শে শুক্রবার সকালে পানিছত্র এলাকার কে আই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে ওই চিকিৎসক দুপুর ১টার দিকে রোগীর মেরুদণ্ডের ব্যথা কমানোর জন্য তার শরীরে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ইনজেকশন পুশ করার পরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন শারমিন। তড়িঘড়ি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানোর সময় মৃত্যুর বিষয়টি ধড়া পড়ে। 

এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে হাসপাতালের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত শারমিনের স্বামী আনোয়ার খালাসি বলেন, চিকিৎসক চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গায় পাঠাতে পারত। সেটা না করে নিজেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিযুক্ত ডা. সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা মুঠোফোনে জানান, দায়িত্ব অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসা নয়, স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে শারমিনের। তার যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এখানে কোনো ত্রুটি ছিল না। আমি চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় চলে এসেছি। পরে হাসপাতাল থেকে ফোনে জানায় যে শারমিন নামের ওই রোগী মারা গেছেন। রোগী মারা গেলে, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে- এমন অভিযোগ হয়। তবে চিকিৎসক কখনই চায় না রোগী মারা যাক।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, হাসপাতাল ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শিবচর পৌরসভার খানকান্দি এলাকার সৈয়দ শামীমের স্ত্রী লাকি বেগমের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে একই হাসপাতালে ভাংচুর চালান স্বজনরা। পরে ৬ লাখ টাকায় মীমাংসার গুঞ্জন ওঠে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম