পাবনার বেড়ায় আত্মীয়স্বজনের মধ্যে সামান্য ঘটনার জেরে ভায়রা ভাইয়ের লাঠির আঘাতে রঞ্জু (৩০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বেড়া উপজেলা হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত রঞ্জু বেড়া উপেজলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজনরা জানান, রঞ্জুর খালাতো ভাই সুজন কয়েক মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর সুজন অন্যত্র বিয়েও করেন।
কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের পরও সুজন তার সাবেক স্ত্রীর আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে কটূক্তি ও হুমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে সুজনের সাবেক স্ত্রীর স্বজনরা রঞ্জুর কাছে নালিশ দিলে রঞ্জু গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার খালাতো ভাই সুজনকে সতর্ক করেন।
রঞ্জুর সতর্ক করার বিষয়টি সুজন তার মাকে জানালে মঙ্গলবার রঞ্জু ও সুজনের মা অর্থাৎ দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এতে অপমাণিত বোধ করেন সুজন। আর এ অপমানের জেরে সুজন তার ভগিনীপতি আমিনকে নিয়ে খালাতো ভাই রঞ্জুকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আমিন ও সুজন মিলে রঞ্জুর বাড়ির কাছে রাস্তায় ওতপেতে থাকেন। বাড়ি ফেরার পথে রঞ্জুকেপেছন থেকে লাঠি দিয়ে একটি আঘাত করেন আমিন। এতে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান রঞ্জু।
স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু গভীর রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
অভিযুক্ত ভায়রা আমিন (৩২) একই গ্রামের জেছের আলীর ছেলে এবং তার খালাতো ভাই সুজন (২০) আলী রোস্তম আলীর ছেলে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান জানান, নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সামান্য ঘটনার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানান।