বিএনপির সমাবেশে হামলা ভাঙচুর, আহত ৫০
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২২ পিএম
নীলফামারীতে বিএনপির পদযাত্রা ও সমাবেশস্থলে চেয়ার ভাঙচুর, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে মঞ্চ দখলে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে পৌর সুপার মার্কেটের দক্ষিণ প্রান্তে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির পদযাত্রা ও সমাবেশ এবং মার্কেটের উত্তর প্রান্তে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে টানটান উত্তেজনার মাঝে উভয় দলই কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে।
একই এলাকায় দুই দলের সমাবেশ নিয়ে শুক্রবার থেকেই শহরে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার বেলা ১১টার পর পর আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা মার্কেটের অপরপ্রান্তের মঞ্চে অবস্থান নেয়।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিএনপির কার্যালয়ে আসার সময় বাজার ট্রাফিক মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকের অভিযোগ, আমাদের সমাবেশ চলা অবস্থায় অপরপ্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে স্লোগান দেয় বিএনপি। আমরা তাদের শান্ত হতে বলি।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমঙ্গীর সরকারের অভিযোগ, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা সভামঞ্চে আসতে থাকে। আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ না করে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি অফিসের পাশে সমাবেশের আয়োজন করে।
হঠাৎ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সামনেই বিএনপির মঞ্চে থাকা চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তারা।
দুপুরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষ হওয়ার পর বিএনপি শহরে মিছিল ও সমাবেশ করে। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, মীর সেলীম ফারুক, কাজী আখতারুজ্জান জুয়েল, ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেড, শেফাউল জাহাঙ্গীর সেফু, মোরশেদ আযম, আবু সাইদ বাবু, মারুফ পারভেজ প্রিন্স প্রমুখ।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, আহসান রহীম মঞ্জিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, আবুজার রহমান, মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু, আরিফ হোসেন মুন, জাফর সাদেক তুহিন, ওয়াদুদ রহমান, মাসুদ সরকার প্রমুখ।