পাখি শিকারের দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৬ এএম
অবৈধভাবে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের অপরাধে বাবা ও ছেলেকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাবা ও ছেলেকে এ দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন। পরে অভিযুক্তদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মদনহাট গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩২)। এদিকে উদ্ধারকৃত পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চারঘাটে থাকা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে চারঘাটের কাঁকড়ামারী বিল মেরামতপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক পাখি শিকার করেন। সকালে পাখিগুলো জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিলমেরামতপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাখিগুলো উদ্ধার করে অবৈধভাবে পাখি শিকারে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, পাখি ধরে হত্যা করায় বাবা ও ছেলেকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজেদের দোষও স্বীকার করেছেন। এর আগেও বাবা ও ছেলে এ এলাকায় অবৈধভাবে পাখি শিকার করেছেন। পরে প্রতিটি বাবুই পাখি ১০ টাকা করে হোটেলে বিক্রি করেন তারা।
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, বন্যপ্রাণী আইনের ২৬ ধারায় তাদের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আরও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পরে চারঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।