শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালান!
যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালান করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত সংলগ্ন নদী তীরে মজুদকৃত ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালানসহ আনোয়ার হোসেন নামে এক পেশাদার চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার মামলা দায়েরপূর্বক তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আনোয়ার উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম রতনপুরের নুর জামালের আনোয়ার হোসেন।
একই মামলায় পলাতক আসামিরা হলেন- সীমান্ত গ্রাম রঙ্গাছড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে মোস্তফা মিয়া ওরফে মস্তু, লালঘাট সীমান্ত গ্রামের আজর আলীর ছেলে জানু মিয়া। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২-৩ চোরাকারবারিকে।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিরেন্দ্র নগর সীমান্তের পাটলাই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসা ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালানসহ চোরাকারবারি চক্রের সদস্য আনোয়ারকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এ তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করে।
মিডিয়া সেল জানায়, সম্প্রতি উপজেলার বিরেন্দ্র নগর সীমান্তের বাগলী শুল্ক স্টেশন সংলগ্ন বাগলী, রঙ্গাছড়া সীমান্ত গ্রামসহ একাধিক সীমান্ত গ্রাম দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ২২১টি বস্তাভর্তি কয়লার চালান মজুদ করে রাখা হয় পাটলাই নদীর তীরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই মৃদৃল কান্তি সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযান চালায়।
এরপর উপজেলার বিরেন্দ্র নগর সীমান্তের পাটলাই নদী তীরে অবস্থান নেয়া চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের হেফাজত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ৪ হাজার ৪২০ কেজি ভারতীয় চোরাচালানের কয়লা, নগদ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন সেট (সিমসহ) জব্দ করে। এ সময় চক্রের সদস্য আনোয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কৌশলে তার অপর সহযোগী চোরাকারবারি মোস্তফা মিয়া ওরফে মস্তু, জানুসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন যুগান্তরকে জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক আনোয়ার হোসেন তার সঙ্গে থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়লা চোরাচালানে জড়িত মোস্তফা মিয়া ওরফে মস্তু, জানু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের তথ্য দিয়েছে। ভারতীয় কয়লা চোরাচালানে জড়িতদের নামে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে।