মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ এএম
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ গ্রামে এক অটোরিকশা চালকের কিশোরী মেয়েকে (১৮) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় কিশোরী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-৫, তারিখ-০৯.০২.২০২৩ইং) দায়ের করেন। থানায় মামলা দায়েরের পরই সেনবাগ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার বীজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. জহিরুল ইসলাম রকি নামে মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রকি উত্তর বীজবাগ এলাকার চৌধুরী মিয়ার নতুন বাড়ির মো. নুরুল হকের পুত্র।
পুলিশ জানায়, বীজবাগ গ্রামের দরিদ্র এক অটোরিকশা চালকের কিশোরী মেয়ে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়ার সময় একই এলাকার নুরুল হকের পুত্র জহিরুল ইসলাম রকি পথে ঘাঠে প্রায় তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে কিশোরীকে এড়িয়ে চলা শুরু করে।
এ ঘটনার পর কিশোরী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। থানায় মামলা দায়েরের পর পরই সেনবাগ থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার বীজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. জহিরুল ইসলাম রকিকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামি রকিকে বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বিকালে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।