কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
যৌতুকের জন্য নন্দিনী (২০) নামেক এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মামুন মিয়াকে (৩৩) মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির অনুপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাগলাইল (দানাপাটুলী) এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে মামুন মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার তারাপাশা এলাকার মিনার আলম খানের মেয়ে নন্দিনীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রণয় থেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মামুন তার স্ত্রী নন্দিনীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে মামুন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ তারাপাশা এলাকার দিদার মিয়ার ভাড়া বাসায় স্ত্রী নন্দিনীর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান মামুন।
স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় নন্দিনীকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতির কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৫ দিন পর ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়। নন্দিনীর মৃত্যুর সময় তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ৮ মাসের কন্যাসন্তান ছিল।
এ ঘটনায় নন্দিনীর বাবা মিনার আলম খান বাদী হয়ে স্বামী মামুনকে একমাত্র আসামি করে ১ মে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পুলিশের এসআই ফজলুল হক মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে মামলার রায় ঘোষণা করেন।