বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল নয়। গণতান্ত্রিক পন্থায় কোনো ভোটে তারা নির্বাচিত হয়নি। ১৯৭৩ সালে ভোট কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল। গণতন্ত্রের মুক্তি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য একাত্তর সালে জীবনবাজি রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
বুধবার খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিতাই রায় বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সব কিছুকে চুরমার করে দিয়ে দানবীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি টেকেনি। শেখ হাসিনার নিকৃষ্টতম শাসনেরও অবসান ঘটবে। মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, পাকস্তানি বাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে যারা নিরাপদে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তারাই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। চারটি পত্রিকা রেখে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। রক্ষীবাহিনীরা ৩০ হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করেছিল। ওই সময় দেশপ্রেমিক সিরাজ শিকদারকে হত্যা করা হয়েছিল।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, হাফিজুর রহমান মনি প্রমুখ।