পাবনায় প্রেমিকের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৩৮ এএম
পাবনার বেড়ায় বখাটের মারধরের শিকার হয়ে সুস্মিতা খাতুন (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার বেড়া পৌর এলাকার সান্ড্যালপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
সুস্মিতা ওই মহল্লার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বেড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, প্রেমিকের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব ছাত্রীর পরিবারের লোকজন প্রত্যাখ্যান করে। এতে তার প্রেমিক মঙ্গলবার তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। এ অভিমানে তিনি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে কোন এক সময় আত্মহত্যা করেন। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মঙ্গলরার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রীর স্বজনরা জানান, সুস্মিতা খাতুনের সঙ্গে সাঁথিয়া উপজেলা সোনাতলা গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে আশিকের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আশিক তার বাবাকে দিয়ে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। সুস্মিতার বাবা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আশিক অপমানিত বোধ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সুস্মিতার পথরোধ করেন আশিক। এ সময় দুজন বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে আশিক ওই কলেজছাত্রীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। লাঞ্ছিত ওই কলেজছাত্রী বাসায় এসে তার মাকে এ ঘটনা বলেন। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে সবার অগোচরে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন।
বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাকে ডাকাডাকি করেন। এতে ঘরের দরজা না খোলায় তারা ঘরের দরজা ভেঙে সুস্মিতাকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ওই কলেজছাত্রী প্রেমিকের হাতে মারধর ও লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বলে পরিবারের লোকজন মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। কলেজছাত্রীর দাফনের পর তারা লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।