আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা করতে চান জোবায়েরপন্থিরা

টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪১ পিএম

তুরাগ নদের তীরে কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। রোববার সকাল ১০টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিটের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
এদিকে আগামী ২০২৪ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আলমি শূরার (মাওলানা জোবায়েরপন্থি) বিশ্ব ইজতেমার তারিখের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এখনই তারিখ ঘোষণা করতে চাচ্ছেন না আয়োজক কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি ডা. কাজী শাহাবুদ্দিন। তিনি যুগান্তরকে জানালেন, এবার ময়দানে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি সমাগম হওয়ায় ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত অবস্থান নিতে হয়েছে। আগামীতে একপর্বে ইজতেমা করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তাই ২০২৪ সালের আলমি শূরার বিশ্ব ইজতেমা ৫, ৬, ৭ জানুয়ারি প্রথমপর্ব মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে ১১, ১২, ১৩ জানুয়ারি দ্বিতীয়পর্ব ইজতেমা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু করে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ২৩ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন আখেরি মোনাজাতে অযুতকন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহিম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনিব-ভৃত্য, ধনী-গরিব, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশা-গোষ্ঠীর মানুষ আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
দক্ষিণে খিলক্ষেত, উত্তরে গাজীপুর চৌরাস্তা, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত বিশাল জনসমুদ্র থেকে সকালের আকাশ কাঁপিয়ে ধ্বনি উঠে- ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ।’ মুঠোফোনে এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তুলেছেন আল্লাহর দরবারে।
লাখো মানুষের কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।