বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। নদীর গভীরতা কমে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলার প্রধান নৌঘাট কালীতলা থেকে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা হাঁটু পানি ভেঙে কাঁধে ও মাথায় ভারি বোঝা নিয়ে যমুনা নদী পারাপার হচ্ছেন।
এদিকে ইজারাদার ড্রেজিং করেও ঘাট চালু করতে পারেননি। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দেলুয়াবাড়ি চরে ঘাট স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে নদী পারাপারকারীরা অতি কষ্টে হেঁটে বা ২০ টাকার ভাড়ায় অটোরিকশায় ঘাটে যেতে হচ্ছে। একদিকে সময় অপচয় ও অন্যদিকে বাড়তি গাড়ি ভাড়া ব্যয় করতে হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ যমুনা নদীর কালীতলা ঘাট থেকে খেয়া নৌকায় বাগবের, গজারিয়া, চরবাটিয়া, শালুখা কুড়িপাড়া, পাখিমারাসহ বিভিন্ন চরে যাতায়াত করেন। কিন্তু যমুনা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় ঘাটের দক্ষিণে চর জেগে ওঠেছে। এতে জনগণ হাঁটু পানি ভেঙে নদী পারাপার হচ্ছেন। অনেকে কাঁধে ও মাথায় ভারি বোঝা বহন করছেন।
বর্তমানে কালিতলা নৌঘাট বন্ধ থাকায় দেলুয়াবাড়ি নতুন ঘাট হতে দীর্ঘ পথ ঘুরে যাত্রীবাহী নৌকা মথুরাপুর ঘাট হয়ে চন্দনবাইশা ঘাটের পাশ দিয়ে চরঘাগুয়া, পাকুরিয়া, জামথল, ডাকাতমারা, মানিকদাই ঘাটে যেতে হচ্ছে।
কালীতলা ঘাটের ইজারাদার আবু সাইদ জানান, যমুনা নদীর নাব্য সংকটের কারণে নৌ-ঘাটটি অস্থায়ীভাবে দেলুয়াবাড়ি চরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, যমুনা নদীর কালীতলা নৌ-ঘাট দেলুয়াবাড়ি চরে স্থানান্তর করা হয়েছে। মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নতুন ঘাটে যাওয়ার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদী নিয়ে স্টাডি চলছে। আগামীতে যমুনা নদী ড্রেজিং করার পরিকল্পনা রয়েছে।