Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত রাজশাহীর জনজীবন

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম

হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত রাজশাহীর জনজীবন

ঘনকুয়াশা ও দমকা হাওয়ার দাপটে কনকনে হাড়কাঁপানো শীত পড়ছে উত্তরের জনপদ রাজশাহীতে। মৌসুমের প্রথম দফার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এখন নেই। তবে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পারদ প্রায় একই থাকছে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদে তেমন একটা ব্যবধান না থাকায় দিনেও কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত রাজশাহীর স্বাভাবিক জনজীবন।

মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তামপাত্রা ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।  

মঙ্গলবার বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ঘন কুয়াশার ঢাকা ছিল। আর সারা রাত ও দিনজুড়ে দমকা বাতাসের দাপট চলমান রয়েছে। বাতাসের কারণেই শীতের অনুভূতি হাড় পর্যন্ত গিয়ে ঠেকছে। এতে ঘরের বাইরে হাড়কাঁপানোর শীতের প্রকোপে জনজীবনে একধরনের স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে। এ দিন ঘরের বাইরে মানুষের চলাচল তুলনামূলক অনেক কম ছিল। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়নি। এ ছাড়া যারা বাইরে বের হয়েছেন তারা মোটা গরম কাপড় শরীরে মুড়িয়ে নিয়েছেন।
সন্ধ্যার পর থেকে দিনের একটি অংশ ঘন কুয়াশার দাপট থাকায় যান চলাচলে অস্থরিবতা দেখা গেছে। দূরপাল্লার যানবাহনগুলোও গতি কমিয়ে দিনের বেলাতেও হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। এ ছাড়া খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে।

নগরীতে ভোরে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন আহমেদ আলী। তিনি বলেন, গত দুদিন শীত বেশি লাগছে। রাতে অতিরিক্ত শীতের কারণে তিনি সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাসায় চলে যান। দিনের বেলাতেই মূলত তিনি গাড়ি চালান। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় তেমন ভাড়া হয়নি। মাথায় কিস্তির বোঝা আছে। তাই এক-দুজন যাত্রী নিয়েই কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ভাড়া মেরেছেন।

আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কারও গায়ে লাগছে না। হিমেল হাওয়ার দাপটেই কাঁপছে উত্তর জনপদের মানুষ। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবারও শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহওয়া দপ্তর। 

এদিকে গত সোমবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ছিল ১১ ডিগ্রি  সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, ডিসেম্বরে প্রথম দফার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। জানুয়ারি প্রথম দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা তুলনামূলক বেশি। আর দ্বিতীয় দিনে তাপমাত্রা নেমে ১১ দশমিকের ঘরে। মঙ্গলবার ১৩ এর ঘরে থাকলেও শীতের অনুভূতি বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে বেশি। সামনে তাপমাত্রা আরও নিচে নামবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম