কুয়াশায় ফেরি বন্ধ, অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেল রোগী
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
অ্যাম্বুলেন্সে নজরুল ইসলাম মণ্ডল মারা যাওয়ায় স্বজনদের আহাজারি
ঘন কুয়াশায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকা অ্যাম্বুলেন্সে নজরুল ইসলাম মণ্ডল নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টার দিকে পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ঘাটে তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ওই রোগীর নাম নজরুল মণ্ডল (৬৫)। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গ্রামের মৃত নবী মণ্ডলের ছেলে। নজরুল ইসলাম ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে কুয়াশায় আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয় এবং ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাতে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নজরুল ইসলামকে নিয়ে মিরপুর গাংনীতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাটুরিয়ার ৪ নাম্বার ফেরিঘাটে এসে আটকা পড়ে। সকাল ৬টার দিকে কনকনে শীতের মধ্যে নজরুল ইসলাম মারা যান।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সালাম মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পাটুরিয়া ৪ নম্বর ঘাটে আসা নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর ওই রোগী মারা যান। সকাল সাড়ে ৭টায় ফেরি চলাচল শুরু হলে স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান।