Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভাঙনঝুঁকিতে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ১২:৩২ এএম

ভাঙনঝুঁকিতে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ

বর্ষা এলেই নদনদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। চাঁদপুর মেঘনা নদীর ক্ষেত্রেও সে রকম ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার শুরুতে ‘হিংস্র’ হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। 

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নদীর উত্তাল ঢেউ এবং তিন নদীর মিলনস্থল দিয়ে আবারও ঘূর্ণিস্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের মোলহেড ও পুরানবাজার ঠোট্টা এলাকা ভয়ানক রূপে দেখা যাচ্ছে। এতে আবারও হুমকির মুখে পড়েছে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ। 

এ বাঁধের ১০টি পয়েন্ট খুবই ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে— চাঁদপুর লঞ্চঘাট পশ্চিম অংশের টিলাবাড়ি, যমুনা রোড, পাইলট হাউস, বড়স্টেশন মোলহেডের ঠোট্টা, পুরাতন লঞ্চঘাটসংলগ্ন খেয়া ও ট্রলারঘাট, পুরানবাজারের ব্যবসায়িক এলাকা ভূঁইয়ারঘাট, মদিনা মসজিদ ট্রলারঘাট, পশ্চিমবাজার, হরিসভা ঠোট্টা ও মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরু বকাউল বাড়িসহ রনাগোয়াল এলাকা। এ ছাড়া চাঁদপুরের অন্যান্য নদীতীরবর্তী অনেক এলাকা ভাঙনপ্রবণ রয়েছে বলে জানা গেছে। 

চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসনে যে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সেটি অনুমোদনের ধীরগতি চলছে বলে জানা যায়। সরকারের কাছে জোরালো তদবির না থাকায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখছে না।

সম্প্রতি বড় স্টেশন যমুনা রোড টিলাবাড়ি এলাকায় ভাঙনে বাঁধের অসংখ্য ব্লক দেবে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই স্থানটি সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে আপাতত ভাঙন ঠেকিয়েছে।

অন্যদিকে পুরানবাজার দোলমন্দির প্রাঙ্গণে শহররক্ষা বাঁধের কিছু ব্লক দেবে গিয়ে সেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে। মেঘনা নদীর গতিবিধি, পানি প্রবাহ স্রোতের তীব্রতা আবারও ভাঙন আলামত হিসেবে দেখছেন নদীর পাড়ের ব্যবসায়ী ও মানুষজন।

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল হচ্ছে চাঁদপুর শহর। শহরের পশ্চিম অংশে মেঘনা ও পদ্মার মিলনস্থল বড় স্টেশন ও পুরানবাজার ঠোট্টা এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে ব্লকবাঁধ দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব এলাকায় মাঝে মধ্যে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৪৫০ কোটি টাকার একটি স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প তৈরি করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তবে তিন বছরেও তা নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি। তারা চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প নামে তিন হাজার কোটি টাকার স্থায়ী একটি প্রকল্প প্রস্তাব করে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার এবং নতুন বাজার এলাকাটি সংরক্ষণে যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটি পুর্নবাসনের জন্য ইতিমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প দিয়েছি। সেটির স্টাডি হয়েছে। স্টাডি সাপেক্ষে আমরা প্রকল্প দাখিল করেছি, সেটি এখন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম