Logo
Logo
×

সারাদেশ

সালিশে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত

Icon

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২২, ১০:১৪ পিএম

সালিশে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত

দাগনভূঞায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় শাহজালাল ফারুক নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিহত ফারুকের বাবা আবদুল হাকিম (৬৫) ও ভাই আবদুল হালিম (৩৫) আহত হয়েছেন।

শাহজালাল ফারুক (৪০) উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ খুশীপুর গ্রামের মির্জাবাড়িতে তাদের চাচা, জেঠা ও চাচাতো-জেঠাতো ভাইদের ৬ পক্ষের পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক সালিশ বৈঠক বসে। এতে বিরোধীয় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও গ্রামের গণ্যমান্য সালিশদাররা উপস্থিত ছিলেন।

সালিশের একপর্যায়ে আবদুল হাকিম (৬৫) নামে একজন কথা বলার সময় সাহাবুদ্দিন নামে প্রতিপক্ষের একজন বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিন তার জেঠা সম্পর্কীয় বৃদ্ধ আবদুল হাকিমের ওপর হামলা ও কিল-ঘুসি মারতে শুরু করেন।

এ সময় সালিশে উপস্থিত থাকা আবদুল হাকিমের ছেলে শাহজালাল ফারুক প্রতিবাদ করে এগিয়ে যায় এবং তিনিও সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন। তখন সাহাবুদ্দিনের পক্ষের লোকজন এক জোট হয়ে আবদুল হাকিম ও তার ছেলে শাহজালাল ফারুককে মারধর করে।

খবর পেয়ে ফারুকের ছোটভাই আবদুল হালিম তাদের নতুন বাড়ি থেকে সেখানে গেলে তাকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আবদুল হালিমকে দ্রুত দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

আহত শাহজালাল ও তার বাবা আবদুল হাকিমকে অন্যরা সেখান থেকে তাদের নতুন বাড়িতে নিয়ে যান। বেলা ১২টার দিকে বাড়িতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহজালাল ফারুক অসুস্থতা বোধ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছার আগেই রোগী মারা গেছেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম পারিবারিক জমিজমা নিয়ে সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। কাউকে আটক করা হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম